প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি লেখক, ঔপন্যাসিক সমরেশ বসু। তিনি ১৯২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর ঢাকার বিক্রমপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কালকূট ও ভ্রমর ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন।
তার রচনায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, শ্রমজীবী মানুষের জীবন এবং যৌনতাসহ বিভিন্ন অভিজ্ঞতার সুনিপুণ বর্ণনা ফুটে ওঠে।
বিচিত্র সব অভিজ্ঞতায় সমরেশ বসুর জীবন ছিল পরিপূর্ণ। এক সময় মাথায় ফেরি করে ডিম বেচতেন। বিচিত্র বিষয় এবং আঙ্গিকে নিত্য ও আমৃত্যু ক্রিয়াশীল লেখকের নাম সমরেশ বসু।
১৯৪৩ থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত তিনি ইছাপুরের গান ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন। ট্রেড ইউনিয়ন ও ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন তিনি। এ কারণে তাকে ১৯৪৯-৫০ সালে জেলও খাটতে হয়, জেলখানায় তিনি তার প্রথম উপন্যাস ‘উত্তরঙ্গ’ রচনা করেন।
জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি লেখালেখিকেই পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। কালকূট মানে তীব্র বিষ। এটি তাঁর ছদ্মনাম। 'অমৃত কুম্ভের সন্ধানে', 'কোথায় পাব তারে' সহ অনেক উপন্যাস তিনি এ নামে লিখেছেন।
ছদ্ম নামে লেখা শাম্ব উপন্যাসের জন্য ১৯৮০ সালে তিনি সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন। লেখক হিসেবে সমরেশ আমৃত্যু যে লড়াই করেছেন তার কোনো তুলনা নেই।
সমরেশ বসু ১৯৮৮ সালের এর ১২ মার্চ মারা যান।
তার একটি উক্তি হলো-
“যত বিচিত্র মানুষ তত বিচিত্র তার পত্র।”